আমার একটা নিজের সংসারের খুব শখ,সম্পূর্ণ আমার অধিকার

আমার একটা নিজের সংসারের খুব শখ,সম্পূর্ণ আমার অধিকার

আমার একটা নিজের সংসারের খুব শখ,সম্পূর্ণ আমার অধিকার থাকবে যে সংসারে।

যদি কখনো মাঝরাতের ঝুম বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে খিচুরী খেতে, তবে বিনা দ্বিধায় যা করা যাবে,

কিংবা কোন সন্ধ্যাবেলায় যদি ইচ্ছে করে ফুচকা খেতে, তা যেন বানিয়ে খেতে পারি, কোন কৈফিয়ত দেয়া

ছাড়া।
যেখানে কখনো হিসেব দিতে হবে না যে, চিনি কেন মাসের আগে শেষ হয়ে গেল,তেল কেন বেশী খরচ করি।

যেখানে কোনো নতুন রেসিপি বানানোর সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় যে, যদি ভাল না হয়, অপচয়ের অপবাদ

গায়ে মাখতে হবে।

যেখানে গোসলের আগে চুল আচড়ানো নিয়ে কিংবা পানি বেশী খাওয়া নিয়ে কথা শুনতে হবে না ( হাস্যকর

শুনতে হলেও এসব সত্যি)

যে সংসারে ইচ্ছে মতো মেহমানদারী করা যাবে, মেহমানদের সাথে হেসে কথা বলা নিয়ে কৈফিয়ত দিতে হবে

না।
বিকেলের অবসরে ছাদে যাওয়া নিয়ে কোন কথা শুনতে হবে না, কিংবা কোনদিন জোস্নারাতে খুব মন কেমন

করা নিয়ে ঘুমোতে যেতে হবে না।

সকালের ঘুম দেরিতে ভাংলে কিংবা দুপুরের ঘুম সময়মতো না ভাঙলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না।

যেখান সাধারন অসুস্থতার সময় কিংবা পিরিয়ড এর যন্ত্রণাময় দিনগুলোতে কাজ একটু কম করলে, কেউ মুখ

কালো করে কথা শোনাবে না।

প্রতিটি মেয়ের মনের ভেতর আজীবন লালিত হয়, নিজস্ব একটা সংসারের, Universal Truth এর মতো সত্যি

এটা। অধিকাংশ মেয়েই সেটা পায় না, আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাটাই এমন,যেখানে আলাদা সংসার করাটা বাঁকা

চোখে দেখা হয়।

কিন্তু যৌথ পরিপারে ঠিক কতটা সংসার করা হয়, মানসিক শান্তিতে থাকা হয়, সেটা কেউ তলিয়ে দেখে না।

দাম্পত্য জীবনে প্রাইভেসি টা অনেক বড় জিনিস, যেটা অধিকাংশ মেয়েই পায় না।

স্বামীদের দায়িত্ব এখানে বিশাল, সদ্য পরিবার ছেড়ে আসা মেয়েটা তার সবটুকু ছেড়ে আপনার কাছেই কিন্তু

আসে, আর আপনি, পরিবারের সবার সাথে বসে তাকে জাজ করেন ( অবশ্য সবাই এমন না)

প্রতিটি মেয়ের যেন নিজের একটা সংসার হয়, খুব করে চাই আমি, এই বৃষ্টি মুখর বিকেলের প্রার্থনায়।

যেন তার বৃষ্টিভেজা ছাদে গিয়ে চা খাওয়া কিংবা সময় কাটানো নিয়ে কারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে না হয়।