একটি ডিভোর্স জীবনের গল্প অতঃপর ১লেখকঃ সবুজ মোল্লা

একটি ডিভোর্স জীবনের গল্প অতঃপর ১লেখকঃ সবুজ মোল্লা

ভালবাসা একটি পবিত্র বন্ধন আর এই বন্ধনের চিরস্থায়ী রুপ হচ্ছে অদৃশ্য সুতোর বিনি সুতার মালা ।

কেউ কেউ এই মালার সম্মানে মহামূল্যবাণ জীবন ও দিয়ে দেন।

আবার কিছু কিছু স্বার্থপর মানুষ আছে যারা স্বার্থের টানে পোশাক পাল্টানোর মত সম্পর্ক পাল্টায় জানি না তারা সত্যি সুখি হতে পারে কি না ?

একটি ডিভোর্স জীবনের গল্প অতঃপর ১লেখকঃ সবুজ মোল্লা

ঘটনার সময় কাল২০১৯সালের ফেব্রুয়ারি মাস আমি তখন প্রাণ RFL কোম্পানির একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রামের উলিপুর সদরে কর্মরতছিলাম।

আমি ম্যাচে থাকলে ওখাওয়াদাওয়া করতাম স্থানীয় ভাই ভাই হোটেলে ,কোন একদিন দুপুরে খাওয়ার জন্যে বসেছি মাত্র।

পাশের টেবিলে দেখলাম যে একটি মেয়ে ফিসফিস করে কাঁদছে সামনে ভাতের প্লেট সে শুধু ভাত নাড়ছে ভাত

গিলতে পারছেনা অথচ পাশের সবাই খাচ্ছে আর মেয়ে টাকে বার বার বলছে ঐ ছেলেকে ছাড়লে তোর

ভবিষ্যতে ভাল হবে ওর কি আছে? কি দেখে যে তুই ওর সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করলি ?

তোকে কি করে খাওয়াবে ? তোমাকে আমরা ভাল ঘরে বিয়ে দিবো।

মেয়ে টা শুধু কাঁদছে কিছু বলতে পারছে না ।

পাশে বসা অন্য এক নারী তাকে শান্তনা দিচ্ছে নাকি আঘাত করছে ঠিক বুঝলাম না হুট করে বলে উঠলো আর

কিছুদিন আগে ঝামেলা টা মিটানো হলে ভাল হতো এখন তো আবার ঝামেলা বাড়ছে ।

বিষয়টা কিছুটা আচ করতে পারলাম যে ওরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করেছে এবং মেয়েটি গর্ভবতী পারিবারিক

চাপের কারণে বিবাহিচ্ছেদ এ যাচ্ছে। যদিও আমার কাছে মেয়েটিসম্পূর্ণ অচেনা অজানা তবুও কেন যানি তার

জন্যে মনটা ছটফট করছিল দুচোখে অশ্রু ঝড়েছিল পেটে খিদে থাকলেও ভাত খেতে পারলা না।

ঐদিন চলে গেলাম কিন্তু মনটাকে কিছু তেই শান্তনা দিতে পারছিনা এটা কেমন সমাজ কেমন সামাজিকতা

কতটা নিকৃষ্ট ঐসব মানুষ যারা একটা সম্পর্কের সাথে সাথে একটি অনাগত ভবিষ্যতে কে চিরতরে ধ্বংস করে

মেয়ে কে সুখের স্বপ্ন দেখাচ্ছে?এই ঘটনা আমাকে খুব ভাবাচ্ছিল উঠতে বসতে খেতে এমনকি মার্কেটে কাজ

একটি ডিভোর্স জীবনের গল্প অতঃপর ১লেখকঃ সবুজ মোল্লা

করতে গিয়েও বারবার মনে পড়তো সপ্তাহ খানিক পরে দুর্গাপুর বাজারে হুট করে দেখা হলো মেয়ে টির পাশে

বসা সেই নারীর সাথে মনে সংকোচ না রেখেই বলে ফেললাম আচ্ছা আপা কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি

হুম বলেন ঐযে ঐ মেয়ে টার কি খবর কোন মেয়ে না মানে সেদিন হোটেলে যে আলোচনা হচ্ছিল ও মনিরা

(ছদ্মনাম) তেমন কিছু না ।

ছোট বেলা থেকে দুজনে এক সাথে পড়াশুনা করছে সেই তখন থেক সম্পর্ক ৪ মাস আগে বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করছিলো এখন মেয়ের পরিবার মানে না যার ফলে তালাক হবে ।

একটি ডিভোর্স জীবনের গল্প অতঃপর ১লেখকঃ সবুজ মোল্লা

ওহ এই ঘটনা কিন্তু বাচ্চার কি হবে ধুর রে ভাই বোঝেন না কনছেপ ডিলেট করে অন্য খানে বিয়ে দিবে।

এর কিছুদিন পরে আমার পোস্টিং হলো রংপুর সদরে ,ধাপ ল্যাবএইডে এক বন্ধুর সাথে দেখা করে রংপুর কোটের সামন দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ চোখে পড়লো সেই মনিরা আর তার স্বজনদের বুঝতে পারলাম যে, আজ বিচ্ছেদ ঘটেছে অন্য সবাই খুশি র আমেজে থাকলেও

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *