ভোটাধিকার একটি গণতান্ত্রিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভোটার হওয়ার নির্ধারিত বয়স ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের নাগরিকদের কত বছর হলে ভোটার হওয়া যাবে এবং কীভাবে ভোটার হওয়ার আবেদন করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার নির্ধারিত বয়স
বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক যিনি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী, তিনি জাতীয় ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যোগ্য। অর্থাৎ, ২০২৫ সালে যারা ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ভোটার হওয়ার যোগ্যতা
ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। যেমন:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
- নিজস্ব ঠিকানায় বসবাস করতে হবে।
- কোনো মানসিক অসুস্থতা বা আইনগত অযোগ্যতা থাকা চলবে না।
ভোটার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- অনলাইন আবেদন: নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট সাবমিশন: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- বায়োমেট্রিক ডাটা প্রদান: আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান প্রদান করতে হয়।
- ভেরিফিকেশন: তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়।
ভোটার হওয়ার সুবিধা
ভোটার হওয়ার মাধ্যমে একজন নাগরিক তার দেশের উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ভোটাধিকার ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন সম্ভব হয়। পাশাপাশি, জাতীয় পরিচয়পত্র অনেক সরকারি-বেসরকারি সেবার জন্য অপরিহার্য।
উপসংহার
২০২৫ সালে ভোটার হতে চাইলে অবশ্যই ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করতে হবে এবং নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই সময়মতো ভোটার হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।