কাজীপাড়াহাটের অবস্থান
বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। বগুড়া শহরের ১১ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত মহাস্থানগড় প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল।
বগুড়া জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের মধ্যে কাজীপাড়াহাট অন্যতম। এই হাটটি বগুড়া সদর উপজেলার অন্তর্গত এবং বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কাজীপাড়াহাট বগুড়া সদর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার, যেখানে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রি করেন।
কাজীপাড়াহাটের প্রসিদ্ধ খাবার
বগুড়া জেলার খাবারসমূহ তাদের স্বাদ ও বৈচিত্র্যের জন্য সুপরিচিত। কাজীপাড়াহাটের আশপাশে কিছু বিশেষ খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ। নিচে বগুড়ার কিছু বিখ্যাত খাবারের বিবরণ দেওয়া হলো:
চালের কটকটি
মহাস্থানগড়ের বিখ্যাত ‘চালের কটকটি’ বগুড়ার একটি বিশেষ খাবার। সুগন্ধি চালের আটা দিয়ে তৈরি এই মিষ্টান্নটি সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম স্বাদের। মহাস্থানগড়ের আশপাশে ১০০টিরও বেশি অস্থায়ী কটকটির দোকান স্থাপিত হয়েছে, যেখানে ৫ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মূল্য ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ক্ষীর ও স্পঞ্জের মিষ্টি
বগুড়ার দইয়ের মতো ক্ষীর ও স্পঞ্জের মিষ্টি শহরের সাতমাথা এলাকায় দইয়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। এই মিষ্টান্নগুলি বগুড়ার বিশেষত্ব এবং স্থানীয়দের প্রিয়।
আলু ঘাটি
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘আলু ঘাটি’ মাংস বা মাছ দিয়ে তৈরি হয়। বগুড়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় এই খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যে একবার এই খাবারটি খেয়েছে, সে বারবার খেতে চায়।
আলু পোড়া
বগুড়ার লাল গোল আলু পোড়িয়ে খাওয়া যায়, যা স্থানীয়দের প্রিয় খাবার। এটি বগুড়ার একটি ঐতিহ্য এবং স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়।
কলা পাতার কাকনা ভর্তা
বগুড়ার প্রদীপ কুমার হারিয়ে যাওয়া খাবার বিক্রি করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কলাপাতার কাকনা ভর্তা তার মধ্যে অন্যতম। এই খাবারটি স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ এবং স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়।
বগুড়া জেলার কাজীপাড়াহাট ও এর আশপাশের এলাকায় এই বিশেষ খাবারগুলি স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ এবং ভোজনরসিকদের জন্য আকর্ষণীয়।