দিন যত যাচ্ছে, চিকিৎসকরা ক্যান্সার হবার ততই নতুন নতুন কারন খুজে বের করেছেন্ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে এই ঘাতক ব্যাধিতে।
প্রতিটা মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনা সময় ক্যান্সার আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে।
তবে সুকের কতা এই য়ে অধিকাংশ ক্যান্সার- তা সে বংশগত কিংবা পরিবেশগত, যে করণেই হোক নাকেন, প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জীননাষক ক্যান্সারের ঝুঁকি কামাতে চিকিৎসকরা দশটি সহচ উপায় কথা বলেছেন যা মেনে চললে দোরগোড়া থেকেই ছুটে পালাবে ক্যান্সার।
১. ক্যান্সার বিরোধী খাবার খান
এসব খাবারে মধ্যে রয়েছে ফলমুল এবং সবজি। প্রতিদিন খাদ্র তালিকায় পর্যাপ্ত ফলমূল ও সবজি রাখবেন।
রান্নার ঠিক আগের মুহূর্তে এগুলো কেটে ধুয়ে ফেলুন।
তবে খেয়াল রাখবেন টুকরোগুরা যেন বেশি চোট না হয।
টুকরো যত বগ করবেন, ভিটামিনও তত বেশি তাকেব্ টুকরো চোট হলে অক্সিজেনের সংর্স্পেশে ভিটামিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
খাদ্রো ভিটামিন একটা গুরুত্বপূর্ন বিসয়, করন এগুলা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে দুরুনভাবে যুদ্ধ করে ।
ফলমূল কিঙবা সবজির আশ আপনার শরীর থেকে ক্যান্সারের উপাদান বিতাড়িত কর্।
গবেষকদের মতে যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফলমূল এবং সবজি খান, তারা ক্যান্সার মৃত্যুর হাত থেকে অর্ধেকটাই
বেঁচে যান্ এসব খাবার শতকরা ৫০ ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
২. দিনে চার গ্লাসের বেশি পানি পান করুন
তথ্যটি অবাক করার মতো, সন্দেহ নেই।ইউনিভার্সিটি অভ ওয়াশিংটনের গবেষকারা ৪৬২ জন পুরুষের ওপর
এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন যে যারা দৈনিক চার গ্লাসের বেশি পানি পান করেছেন তাদের অন্ত্রের ক্যান্সারের
ঝুঁকি শতকরা ৩২ ভাগ কমে গেছে। পানি পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত হবার প্রয়োজন নেই ।
আসুন জেনে নেই ক্যানসার ঝুঁকি কমনোর কিছু সহজ উপায়
রাসাদিনে চার গ্লাসের বেশি পানি পান করুন্ অনেকে পানি বলে অন্য পানয়ি যেমন সফট ড্রিঙকস,
অ্যালকোহল বা কফি পান করতে ইচ্ছুক । কিন্তু এগুলো পানির বিকল্প নয়।
৩. টমেটোর চাটনি খান
হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটির গবেষকরা ৪৮,০০০ জন পুরুষের ওপর এক গবেষণ চালিয়েছেন।
দেখা গেছে যারা নিয়মিত টমেটোর তৈরি ভাবার খেয়েছেন তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সরের ঝুঁকি শতকরা ২১ ভাগ
কমে গেছে আর যারা দিনে দু’থেকে চার বার খেয়েছেন তাদের কমেছে শতকার া৩৪ বাগ।
আসুন জেনে নেই ক্যানসার ঝুঁকি কমনোর কিছু সহজ উপায়
টমেটোতে থাকে ‘লাইকোপেন’ নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু টমেটো থেকৈ উপকার পেতে কখনো
টমেটোর জুস কিঙবা সালাদ খাবার কথা চিন্তা করবেন না। হয টমেটো দিয়ে রস বানিয়ে খাবেন অথাব চাটনি
বানিয়ে খাবেন। রান্না করা টমেটো থেকেই কেবল আপনি ক্যান্সার বিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে পারে।
গবেষকদের মতে, রক্তে লাইকোপেন সঞ্চালনের জন্য খুব সামন্য চর্বির প্রয়োজন হয়।
৪. পেয়াজ এবং পেয়াজ চাপ খান
নিয়মিত পেয়াজ কিংবা পেয়াজের চাপ খেলে শতকরা ৫০ ভাগ ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়্ পেয়াজে থকে
ব্যাকটেরিয়ারবরোধী উপাদান এবং ‘এলাইলিক সালফাইডস।’ এটা একটি শক্তিশালী ক্যান্সার প্রতিরোধক।
এলাইলিক সালফাইডস ক্যান্সার উৎপাদনকারী উপাদানগুলোকে নিস্ক্রিয় করে দেয়। নেদার্ল্যান্ডে ৩,১২৩ জন
লোকের ওপর ৪ বছর ধরে এক গবেষনায় দেকা গেছে যারা দৈনিক একটার অর্ধেক পেয়াজ খেয়েছেন তাদের
পাকস্থলিতে ক্যান্সারের ঝুকি অর্ধেকই কমে গেছে।
৫. সঠিকভাবে ব্যায়াম করুন
একথা সবাই জানেন যে জীবনের সুস্থতারজন্য ব্যায়ামের সবচেয়ে উৎকৃস্ট পন্থা তবে আপনি কি জানন যে
ব্রায়াম ক্যান্সারের ঝুকি কমিয়ে দেয়? হার্ভার্ডি ইউনিভাসিটির ৪৮,০০০ লোকের ওপর এক গবেষনায় দেকা গেছে
আসুন জেনে নেই ক্যানসার ঝুঁকি কমনোর কিছু সহজ উপায়
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেছেনতাদরে অন্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভবানা ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ব্রায়াম কবেল
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় না,ব্যায়ামের ফলে অন্ত্রে কাদ্র চলাচলের গতি বেড়ে যায় এবং এ
কারণে ক্যান্সার উৎপাদনকারী বস্তুগুলো অন্ত্রে অবস্থান নেবার সুযোগ পায় না।
৬. কপি জাতীয় সবজি খান
বাফেলোতে অবস্থিত রোজওয়েল পার্ক ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা ৪৮৯ জন লোকের ওপর এক গবেষনা
চালিয়ে দেখেছেন যে বংশগত এবং পুস্টিগত অবস্থা কীবাবে তাদের অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সারের সম্ভবনা
বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু খাদ্য এ ধরনে ক্যান্সারের ঝুকি শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে দেয়।
এসব খাবারের মধ্যে
রয়েছে কপি জাতীয় সবজি মেন ব্রকলি , বাধাকপি, ফুলকপি এবং শালগম। প্রাচীনকালে এসব সবজি ভেষজ
হিসেবে ব্যবহৃত হতো । এগুলোতে থাকে ‘সালফোরাফেন’ নামক রাসায়নিক উপদান যা অত্যান্ত শক্তিশালি এক
ক্যান্সার বিরোধী যৌগ।
৭. খাদ্য সয়াবিন যোগ করুন
সয়াবিন ক্যান্সারের ঝুকি কমায় বটে তবে ঠিক কতটুক কমায় তা জানা যায়নি। সয়াবিনে থাকে ফাইটোইষ্ট্রোজেন’ নামক উপদান যা প্রোষ্টেট ও স্তন ক্যান্সারকে প্রতিহত করে। সয়াবিন সবচেয়ে শক্তিশালী ক্যান্সার প্রতিরোধক উপদান হলো ‘জেনিসটেইন’।
আসুন জেনে নেই ক্যানসার ঝুঁকি কমনোর কিছু সহজ উপায়
এটি নতুন টিউমারের পাশে কোনো রক্তনালি গঠন হতে দেয় না। এক গবেষনায় দেখা গেছে জাপানের পুরুষরা বেশি করে সয়াবিন খাবার কারণে প্রোষ্টেটের ক্যান্সারে কম বুগে থাকেন। আপনি যখন রুটি তৈরি করবেন তখন আটার মধ্যে সয়াবিন মিশিয়ে দেবেন। যেকোনো খাবার রান্নার সময় একটু সয়াবিন যোগ করুন।
৮. আঙুরের রস খান
আঙুরের রস খেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা ২৫-৩০ শতাংশ কমে যায়। চিকিৎসকরা এক গবেষণায় দেখেছেন যে আঙুরের রসে থাকে এমন এক ক্যান্সারবিরোধী উপাদন যা ফুসফুস, প্রোষ্টেট ও অন্যান্য ক্যান্সারকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে।
৯. বেশি করে খাদ্যশস্য খান
কানাডার গবেষকরা ১৫,০০০ লোকের ওপর এক গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে যারা প্রচুর পরিমান খাদ্য- আশ খেয়েছেন তাদের অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সারে আক্রান্ত হা্বার ঝুকি অর্ধেকটাই কমে গেছে। গবেষকরা আরো দেখেছেন যে দৈনিক ১৩গ্রাম অতিরিক্ত আশ খেলে অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুকি ৩২ শতাংশ কমে যায়। এই আম আপনি খাদ্য শস্য থেকেই পেতে পারেন।এক্ষেত্রে ভুট্টা ও যবের ভুসি উৎকৃষ্ট খাদ্র শস্য।
১০. একটি করে এসপিরন খান
প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে এসপিরিন অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সারের ঝুকি ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং খাদ্য নালির ক্যান্সারের ঝুকি ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
তবে গবেষকরা শুধুমাত্র ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে এসপিরিনে কার্যকারিতা পেতে হলে বছরের পর বছর সেবন করতে হবে।
আসুন জেনে নেই ক্যানসার ঝুঁকি কমনোর কিছু সহজ উপায়
কিন্তু এসপিরিন কোনা কোনা লোকের পাকস্থিলিতে রাক্তক্ষরণ ঘটিয়ে থাকে।তবে আপনি যদি হৃদরোগী হোন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এসপিররিন গ্রহন করেত হবে আর সেখান থেকেই আপনি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এসপিররিনের সুফলটা পেতে পারেন।