কয়েকটি হাদীস ও দু’টি উপদেশ!
১
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের
গোপন (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গুপ্ত (অপরাধের) বিষয় গোপন
রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবে, আল্লাহ তার গোপন বিষয় ফাঁস
করে দিবেন, এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন।
[ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৫৪৬]
২
ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা‘ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দিত হয়ো না। কেননা এতে আল্লাহ তার প্রতি করুণা করবেন এবং ঐ তোমাকে
বিপদে নিমজ্জিত করবেন।
[সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৫০৬]
৪
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ব্যতিব্যস্ত হয়ো না এবং করে গোপন তথ্য ফাঁস করো না।
কেননা তোমাদের পশ্চাতে রয়েছে কিয়ামতের) ভীষণ কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী বিপদসমূহ।
[আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং-৩২৭]
৫
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
“তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে?” লোকেরা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক জানেন।’
তিনি বললেন, “তোমার ভাই যা অপছন্দ করে, তাই তার পশ্চাতে আলোচনা করা।” বলা হল, ‘আমি যা বলি, তা
যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার রায় কি? (সেটাও কি গীবত হবে?)’ তিনি বললেন, “তুমি যা
(সমালোচনা করে) বললে, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তার গীবত করলে। আর তুমি যা (সমালোচনা
করে) বললে, তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তাকে অপবাদ দিলে।”
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯]
২টি উপদেশ!
১
কারো দুর্বল বিষয় জানার পর তা ফেইসবুক নামক বাজারে প্রকাশের আগে নিজের দোষগুলোর দিকে তাকাই।
আল্লাহ তাআলা আখেরাতের বাজারে সেসব প্রকাশ করলে আমাদের উপায় কী হবে?
২
কারো ব্যক্তিগত দোষ প্রকাশের পূর্বে একবার ভেবে নিন এর মাধ্যমে আপনি দ্বীনের ক্ষতি করছেন না উপকার?
আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাযত করুন। আমীন।লেখা;moynul islam *** একজন মুমিনের অন্য
মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা,উপহাস না করা,মন্দ নামে না ডাকা,দোষারোপ না করা,ধারনা বা অনুমান না
করা,গীবত,চোগলখুরী,গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান ,হিংসা -বিদ্বেষ থেকে এই আয়াত গুলো তিলাওয়াত
প্র্যাকটিসের মাধ্যমে এসব গুনাহ থেকে আমরা নিজেদের কে রক্ষা করতে পারি।
সূরাহুজরাত আয়াত ১০-১৩ বাংলা অর্থ সহ।
১০.) মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও।
আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে।
১১.) হে ঈমানদারগণ, পুরুষরা যেন অন্য পুরুষদের উপহাস না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম।
আর মহিলারাও যেন অন্য মহিলাদের উপহাস না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম।
তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না।
কেও বিশ্বাস স্থাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা গোনাহ।
যারা এহেন কাজ থেকে তওবা করেনি তারাই জালেম।
১২.) হে ঈমানদারগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ।এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে।
এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো।
আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু।
১৩.) হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি।
তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার।
তোমাদের মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী।
নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও সবকিছু সম্পর্কে অবহিত।