গুলিয়া হাট বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি স্থানীয় এবং বাইরের পর্যটকদের কাছে পরিচিত তার ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য।
অবস্থান
গুলিয়া হাট বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি ছোট্ট জনপদ। এটি জেলার কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এবং প্রধান সড়কপথ দ্বারা সহজেই যাতায়াত করা যায়। সড়কপথ ছাড়াও স্থানীয় অটোরিকশা এবং বাস ব্যবহার করে এখানে পৌঁছানো যায়।
প্রসিদ্ধ খাবার
গুলিয়া হাটের নাম উচ্চারিত হলে প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় আসে, তা হলো এর বিখ্যাত খাবার। স্থানীয় বাজার এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায় এমন কিছু প্রসিদ্ধ খাবার হলো:
- কাবাব ও পরোটা: গুলিয়া হাটের কাবাব ও পরোটা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের মধ্যেও সমান জনপ্রিয়।
- মিষ্টি: বগুড়ার মিষ্টির খ্যাতি সারা দেশে। গুলিয়া হাটে পাওয়া যায় বগুড়ার বিখ্যাত দই এবং রসগোল্লা, যা স্বাদে অতুলনীয়।
- পিঠা: শীতকালে গুলিয়া হাটের স্থানীয় দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম পিঠার প্রচলন দেখা যায়, বিশেষ করে ভাপা ও চিতই পিঠা।
সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য
গুলিয়া হাটে স্থানীয় মেলা এবং উৎসবের মাধ্যমে এলাকাটির সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। এখানে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় পণ্যের প্রদর্শনী এবং ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের অনুষ্ঠান, যা পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ করে।
গুলিয়া হাট শুধু খাবারের জন্যই নয়, এর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষের জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত। এটি বগুড়া জেলার এমন একটি স্থান যা একবার ঘুরে এলে বারবার আসার আকর্ষণ সৃষ্টি করে।