চন্দনবাইশাহাটের অবস্থান
বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত চন্দনবাইশাহাট একটি প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী হাট। এটি বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। হাটটি করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় প্রাচীনকাল থেকেই এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
চন্দনবাইশাহাটের প্রসিদ্ধ খাবার
বগুড়া জেলা তার ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য সুপরিচিত, এবং চন্দনবাইশাহাটও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানকার কিছু প্রসিদ্ধ খাবার নিম্নরূপ:
বগুড়ার দই
বগুড়ার দই সারা দেশে বিখ্যাত। এর স্বাদ ও মান অতুলনীয়, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমাদৃত। চন্দনবাইশাহাটের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে এই দই পাওয়া যায়। দই তৈরির প্রক্রিয়া ও স্বাদের কারণে এটি বিশেষ জনপ্রিয়।
চালের কটকটি
মহাস্থানগড়ের কটকটি একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা চালের আটা, গুড় এবং ঘি দিয়ে তৈরি হয়। চন্দনবাইশাহাটের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে এই কটকটি সহজলভ্য। এর স্বাদ ও খাস্তা ভাবের জন্য এটি বিশেষ জনপ্রিয়।
আলু ঘাটি
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে আলু ঘাটি অন্যতম। গরুর মাংস ও আলু দিয়ে তৈরি এই খাবারটির স্বাদ অতুলনীয়। চন্দনবাইশাহাটের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় এই খাবারটি পাওয়া যায়।
কলোনির চাপ
বগুড়ার কলোনি এলাকার গরুর মাংসের চাপ বিশেষ জনপ্রিয়। চন্দনবাইশাহাটের বিভিন্ন খাবারের দোকানে এই চাপ পাওয়া যায়, যা স্বাদে ও মানে অনন্য।
লাচ্ছা সেমাই
বগুড়ার লাচ্ছা সেমাই দেশের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রিয়। চন্দনবাইশাহাটের মিষ্টির দোকানগুলোতে এই লাচ্ছা সেমাই পাওয়া যায়, যা স্বাদে অতুলনীয়।
চন্দনবাইশাহাটের এই ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়। হাটে ঘুরে এসব খাবারের স্বাদ নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে পারে।