জয়পুরহাট জেলা জাফরপুর হাট: অবস্থান ও প্রসিদ্ধ খাবার

জয়পুরহাট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। জেলার উত্তরে দিনাজপুর জেলা ও ভারত, দক্ষিণে বগুড়া ও নওগাঁ জেলা, পূর্বে গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলা এবং পশ্চিমে নওগাঁ জেলা ও ভারত অবস্থিত। জেলাটির মোট আয়তন ৯৬৫.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।

জয়পুরহাট জেলার অবস্থান ও পরিচিতি

জয়পুরহাট জেলা ১৯৮৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলার প্রধান নদী তুলসীগঙ্গা। প্রশাসনিকভাবে জয়পুরহাটে ৫টি উপজেলা রয়েছে: জয়পুরহাট সদর, আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল ও পাঁচবিবি।

জাফরপুর হাট: অবস্থান ও পরিচিতি

জাফরপুর হাট জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সুপরিচিত হাট। আক্কেলপুর উপজেলা আক্কেলপুর রেলস্টেশন ও তুলসীগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। উপজেলাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত এবং আক্কেলপুর রেলস্টেশন স্থাপনের পর থেকে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাফরপুর হাট স্থানীয় কৃষি পণ্য, মাছ, মাংস এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য সুপরিচিত। প্রতিদিন হাটে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে আসেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জয়পুরহাট জেলার প্রসিদ্ধ খাবার

জয়পুরহাট জেলা তার বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের জন্য বিখ্যাত। নিচে জেলার কিছু প্রসিদ্ধ খাবার উল্লেখ করা হলো:

গরুর মাংস দিয়ে নতুন আলুর কাটা ঝোল

জয়পুরহাটের একটি বিশেষ খাবার হলো গরুর মাংস দিয়ে নতুন আলুর কাটা ঝোল। এই পদটি মসলা ও নতুন আলুর সঙ্গে গরুর মাংস রান্না করে প্রস্তুত করা হয়, যা স্বাদে অনন্য। এটি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়।

মাছের শিঙাড়া ও রোল

আক্কেলপুর উপজেলার একটি চা–দোকানে মাছ দিয়ে শিঙাড়া, রোল ও বল তৈরি করা হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই মুখরোচক খাবারগুলি স্বাদে ভিন্নতা আনে এবং ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।

ভাত ও মাছের ভর্তা

জয়পুরহাটে ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছের ভর্তা একটি সাধারণ ও জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয় হাট-বাজারে তাজা মাছ পাওয়া যায়, যা দিয়ে সুস্বাদু ভর্তা প্রস্তুত করা হয়।

পিঠা

শীতকালে জয়পুরহাটে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়, যেমন ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা ইত্যাদি। এই পিঠাগুলো স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।

উপসংহার

জয়পুরহাট জেলার জাফরপুর হাট স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এলাকার প্রসিদ্ধ খাবারগুলি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে, যা জেলার খাদ্য সংস্কৃতির সমৃদ্ধিকে প্রদর্শন করে।