যু্দ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তিতে দূত হলো জলপাইয়ের তেল বা অলিভ ওয়েল ।
আরবিতে জয়তুন নামে ডাকা হয়।
ভেষজ গুণে ভরা এই ফলটি লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও পরিচিত।
গ্রীক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এ তেল ব্যবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে।
আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণ এ জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে।
বিজ্ঞানিরা বলেন, জলপাই তেলে এমন উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে ।
জলপাই তেল পেটের জন্য খুব ভালো। এটা শরীরে এসিড কমায় , লিভার পরিস্কার করে।
যাদের কোষ্টকাঠিণ্য রয়েছে, তারা দিনে এবক চা চামচ জলপাই তেল খেলে উপকার পাবেন।
গবেষকরা বলেন, জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুচকানো প্রতিরোধ হয় ।
গবেষকরা ২৫ মিলিয়ন লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন প্রতিদিন দুই চা চামচ জলপাই তেল ১
সপ্তাহ ধরে খেলে তা দেহের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেষ্টরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল কোলেষ্টেরল বাড়ায়।
অন্যদিকে স্পেনিশ গবেষকার দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার কররে কোলন বা মলাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।
এটা পেইন কিলার হিসাবেও কাজ করে।
গবেষকরা আরো জানান, গোসলের পানিতে চার ভাগের এক ভাগ চা চামচ জলপাই তেল ঢেলে গোসল কররে
রিলাক্স পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বাড়াতে এটা অনেকটা কার্যকর।
ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেল খাওয়া এবং ব্যবহারের গুরুত্বচ দেয়া হয়েছে।আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“কুলু আয যাইতুল ওয়াদ দিহিনু বিহি, ফা ইন্নাহুমিনি শাজারাতিন মুবারাকাতিন” অর্থ – “তোমরা এই তেলটি
খাও, তা শরীরে মাখাও।” জলপাই শীতকালীন ফল । পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই ফলটি পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে সবুজ জলপাই সহজলভ্য। পৃথিবীর অনেক দেশে কালো জলপাই জন্মে।
জলপাইয়ের পাতা ও ফল দুটোই ভীষণ উপকারী।
জলপাইয়ের রস থেকে যে তেল তৈরি হয় তার রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুন।
প্রচন্ড পরিমাণে টক এই ফলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, ভিটামিন এ , ভিটামিন ই।
এই ভিটামিনগুলো দেহের রোগজীবানু ধ্বংস করে, উচচ রক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা
কমিয়ে হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে।
ফলে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণাত কমিয়ে হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে। ফলে হৃৎপিন্ড থেকে অধিক
পরিশোধিত রক্ত মস্তিস্কে পৌঁছায়, মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের কাটাছেড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সেদ্ধ জলপাইয়ের চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ের পুষ্টিমূল্য অধিক।
এই ফলের আয়রন রক্তের গবেষকরা ২৫ মিলিয়ন লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েঝেন প্রতিদিন দুই চা
চামচ জলপাই তেল ১ সপ্তাহ ধরে খেলে তা দেহের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টরল কমায় এবং উপকারী
এইচডিএল কোলেষ্টরল বাড়ায়।
অন্যদিকে স্পেনিশ গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার কাজ করে।
গবেষকরা আরো জানান, গোসলের পানিতে চার ভাগের এক ভাগ চা চামচ জলপাই তেল ঢেলে গোসল করলে রিলাক্স পাওয়া যায়।
মেয়েদের রুপ বাড়াতে এটা অনেক কার্যকর। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান।
জলপাই পাতার গুনাগুন ও মানব দেহে জলপাইয়ের গুরুত্ব!
এই আঁশ কোষ্টকাঠিন্য দূর করে , ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, কোলনের পাকস্থলীর ক্যানসার দূর করতে রাখে
অগ্রণী ভূমিকা। জলপাইয়ের পাতারও রয়েছে যথেস্ট ঔষুধি গুন। এই পাতা ছেঁচে কাটা, ক্ষত হওয়া স্থানে লাগলে
কাটা দ্রুত শুকায়। বাতের ব্যথা, ভাইরাসজনিত জ্বর, ক্রমাগত মুটিয়ে যাওয়া, জন্ডিস, কাশি, সর্দিজ্বরে জলপাই
পাতার গুড়া জরুরি পর্থ হিসাবে কাজ করে।
মাথার উকুন তাড়াতে , ত্বকের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকজনিত সমস্যা দূর করার জন্য এ প৪াতার গুড়া ব্যবহৃত হয়।
রিুমাটয়েড আথ্রাইটিসে জলপাই পাতার গুাড় ও জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে হাড় ও মাংসপেশির ব্যতা কমে।
জলপাইয়ের তেল কুসুম গরম করে চুলের গোড়াতে ম্যাসাজ কররে চুলের পুস্টি ও বৃদ্ধি ভালো হয়।
চুলের ঝরে যাওয়া তুলনামূলকভাবে কমে। সর্দি কাশি হলে শরীর একে বারেরোগা পাতলা হয়ে যায়।
কারন এই তেলের ফ্যাট খুব সহচে হজম করা যায়। এই তেল কডলিভার অয়েলের চেয়েও ভালো কাজ করে।
তা ছাড়া কডলিভার অয়েলের চেয়েও ভালো কাজ করে।
জলপাই পাতার গুনাগুন ও মানব দেহে জলপাইয়ের গুরুত্ব!
তা ছাড়া কডলিভার অয়েলের বদলে জলপাইয়ের তেলও কাচা খেতে পারলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
কাচা খেতে অসুবিধা হলে কমলালেবুর রস বা অন্য যেকোন ফলের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
যদি মুখে ছালা হয় তাহলে গরম জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কলকুচি করুন। সেরে যাবে।
যদি শরীরের কোন অংশ পুড়ে যায় তাহলে জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগান। আরম পাবেন।
সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে হলুদের পাউডারের মধ্যে বাদামের চূর্ণ এবং দই মিশিয়ে লাগান।