জিয়ানগরহাট বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী হাট, যা স্থানীয়দের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এমন অনেক হাট-বাজার রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অবস্থান
জিয়ানগরহাট বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত। শেরপুর উপজেলা বগুড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা, যা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ। জিয়ানগরহাট স্থানীয় কৃষি পণ্য, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
প্রসিদ্ধ খাবার
বগুড়া জেলা তার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবারের জন্য সুপরিচিত। জিয়ানগরহাটে আসলে আপনি বগুড়ার বিভিন্ন প্রসিদ্ধ খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। নিচে বগুড়ার কিছু জনপ্রিয় খাবার উল্লেখ করা হলো:
বগুড়ার দই
বগুড়ার দই বাংলাদেশের সর্বত্র বিখ্যাত। এর ঘনত্ব, মিষ্টতা এবং স্বাদ অনন্য। জিয়ানগরহাটের বিভিন্ন দোকানে এই দই পাওয়া যায়, যা স্থানীয় ও ভ্রমণকারীদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়।
লাচ্ছা সেমাই
বগুড়ার লাচ্ছা সেমাই দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি চাহিদা মেটায় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। জিয়ানগরহাটে আকবরিয়ার লাচ্ছা ও সাদা চিকন সেমাই বিশেষভাবে সুপরিচিত।
শিক কাবাব
বগুড়ার আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হলো শিক কাবাব। এর বিশেষ প্রস্তুত প্রণালী এবং স্বাদের জন্য এটি বিশেষভাবে পরিচিত। জিয়ানগরহাটে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন দোকানে এই শিক কাবাব পাওয়া যায়, যা মসলাদার রুটি বা লুচির সাথে পরিবেশন করা হয়।
চালের কটকটি
মহাস্থানগড়ের একটি জনপ্রিয় খাবার হলো ‘চালের কটকটি’। সুগন্ধি চালের আটা দিয়ে তৈরি এই মুচমুচে মিষ্টি খাবারটি জিয়ানগরহাটের কাছাকাছি এলাকাতেও পাওয়া যায়। এর স্বাদ ও বৈচিত্র্যের জন্য এটি স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও প্রিয়।
জিয়ানগরহাটে ভ্রমণ করলে আপনি এই সকল ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে পারেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।
ok