বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার অন্তর্গত তিনদিঘী হাট একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার, যা স্থানীয়দের কাছে বিশেষ পরিচিত। এই হাটটি সপ্তাহে দুই দিন, অর্থাৎ শুক্রবার ও সোমবার বসে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হয়।
অবস্থান:
তিনদিঘী হাট কাহালু উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হাটটি কাহালু থানার অন্তর্গত। স্থানীয়রা এই হাটে তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করেন।
প্রসিদ্ধ খাবার:
বগুড়া জেলার খাদ্য সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। তিনদিঘী হাটের আশপাশের এলাকায় কিছু বিশেষ খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়।
- দই: বগুড়ার দই বিশেষভাবে সুস্বাদু ও মিষ্টি। শেরপুরে আড়াইশ বছর আগে টক দই তৈরির প্রচলন শুরু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে মিষ্টি দইয়ে রূপান্তরিত হয়। এই দই এখন শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
- ক্ষীর ও স্পঞ্জের মিষ্টি: বগুড়ার ক্ষীর ও স্পঞ্জের মিষ্টি বিশেষভাবে সুস্বাদু। শহরের সাতমাথা এলাকায় দইয়ের দোকানগুলোতে এই মিষ্টি পাওয়া যায়।
- কটকটি: বগুড়ার মহাস্থান এলাকায় কটকটি একটি জনপ্রিয় খাবার। বিভিন্ন জেলার মানুষ এই খাবারকে পবিত্র ও প্রিয় মনে করে।
- আলু ঘাটি: বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আলু ঘাটি মাংস বা মাছ দিয়ে তৈরি হয়। এটি ভোজনরসিকদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।
তিনদিঘী হাটের আশপাশের এলাকায় এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ। এই খাবারগুলো স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
সারসংক্ষেপে, তিনদিঘী হাট বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার, যেখানে স্থানীয়রা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করেন। এই হাটের আশপাশের এলাকায় বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী দই, ক্ষীর, স্পঞ্জের মিষ্টি, কটকটি ও আলু ঘাটি প্রভৃতি সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়, যা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ।