বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধশালী জেলা, যা তার প্রাচীন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য সুপরিচিত। জেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী হাট ও বাজার, যেখানে স্থানীয় পণ্য ও খাবারের সমারোহ দেখা যায়। তবে, “নগরহাট” নামে বগুড়া জেলায় কোনো হাট বা বাজারের তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্ভবত আপনি জেলার কোনো নির্দিষ্ট হাট বা বাজার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই, বগুড়া জেলার উল্লেখযোগ্য হাট-বাজার এবং সেখানকার প্রসিদ্ধ খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
মহাস্থানগড়ের কটকটি
বগুড়ার মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি নগরী, যা এককালে বাংলার রাজধানী ছিল। এই প্রাচীন নগরীর একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো কটকটি। দেখতে চারকোনা ও ছোট আকৃতির এই মিষ্টান্নটি খাওয়ার সময় কটকট শব্দ হয়, যা থেকে এর নামকরণ। প্রথমে গমের আটা দিয়ে তৈরি করা হলেও বর্তমানে সুগন্ধি চালের আটা, ঘি, ডালডা, চিনি বা গুড় ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। মহাস্থানগড়ের কটকটির খ্যাতি দেশজুড়ে, এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বগুড়ার দই
বগুড়া জেলার আরেকটি প্রসিদ্ধ খাবার হলো বগুড়ার দই। মিষ্টি ও টক দইয়ের জন্য বগুড়া সুপরিচিত। বিশেষ করে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় অনেক পুরনো মিষ্টির দোকান রয়েছে, যেখানে সুস্বাদু দই পাওয়া যায়। দই তৈরির প্রক্রিয়া ও স্বাদের জন্য এটি সারা দেশে জনপ্রিয়।
আলু ঘাটি
বগুড়া জেলার আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো আলু ঘাটি। এটি মূলত আলু ও মাংস দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ খাবার, যা স্বাদে অতুলনীয়। বগুড়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই খাবারটি পাওয়া যায় এবং স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয়।
অন্যান্য হাট ও বাজার
বগুড়া জেলায় আরও অনেক হাট ও বাজার রয়েছে, যেমন- শেরপুর হাট, নন্দীগ্রাম হাট, ধুনট হাট ইত্যাদি। প্রতিটি হাটের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও পণ্য রয়েছে। এই হাটগুলোতে স্থানীয় কৃষি পণ্য, হস্তশিল্প এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
বগুড়া জেলার হাট-বাজার ও সেখানকার প্রসিদ্ধ খাবার সম্পর্কে এই ছিল সংক্ষেপে আলোচনা। প্রতিটি হাটের নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাদ রয়েছে, যা বগুড়ার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতিফলন।