খুব কম লোকই আছেন যারা সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর সজীব বোধ করেন।
চোক জ্বালা করা, মাথা বার বার অনুর্তি, আলস্য প্রথৃতি উপসর্ লেগেই থাকে। অথচ প্রত্যেকই চান সকাল বেলাটায় ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠত্ সাকল বেলাটায় অস্বস্তি মানে সরাটা দিন নিরজীব হয়ে
থাকা। প্রকৃত পক্সে রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না বলেই এ অবস্থার সৃস্টি হয়।
তাই এখানে এমন কিচু টিপস দেয়া হলো যা অনুসরন কররে আপনার চমৎকার ঘুম হবে, সজীব লাগবে
নিজেকে এবং কেটে যাবে সারাদিনের অস্বস্তি।
১. ঘর নিস্তব্ধ রাখুন
যে ঘরে আপনি ঘুমোবেন , লক্ষ রাখবেন সেকানে যেন বাইরের শোরগের কম ঢোকে। কেননা বেশি আওয়াজে
আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। আপনি যদি তন্দ্রাচ্চন্ন অবস্থায় থাকেন তাহরে শব্দের জন্য আপনি ঘুমের গভীর
ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন না। এসব ক্ষেত্রে আপনি দু’কান তুলো গুজে নিতে পারেন।
২. ঘরটা আরামদায়ক তাপমাত্রায় রাখুন
অনেকের ধারনা ঠান্ডা আবহাওয়ার ঘুম ভারো হয়, কিন্তু এ ধারনা ভূল। ভালো ঘুমর জন্য অনুকূল তাপমাত্রা
হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট্ সুতরাং আপনার ঘরটিকে এরকম তামাত্রায় বিন্যস্ত করুন।
৩. অ্রালকোহন পরিহার করুন
কেউ কেই মনে করেন ঘুমোতে যাবার এগ এলকোহল পান করলে বুঝি ঘুমটা ভালো হবে। কিন্তু এ ধারনা ভুল।
অ্যালকোহন পানে স্নায়ু উত্তেজিত হয় এবং কার্যত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া অ্যালকোহল মূত্র বর্ধক হিসেবে
কাজ করে বিধায় রতে ঘন ঘন বাথরুমে যাবার প্রয়োজন হয়। এসব কারণে সকালবেলাটা বিশ্রী লাগে। সুতরাং
এলকোহন পরিহার করাটাই এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ।
নিজেকে সজিব রাখার ১০টি উপায়! প্রত্যেক নারী-পুরুষের জানা জরুরি!
৪. ধুমপান ত্যাগ করুন
কারো কারো অভ্যাস রয়েছে ঘুমোতে যাবার আগে ধুমপান করা। ঘুমোতে যাবার আগে কিংবা দিনের যে কোনো
ভাগে ধূমপানের ফলে নিকোটিনগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে তোলে। ফরে ঘুমটা
কখনোই আরামদায়ক হয় না। পরিসংখ্যান দেকা গেছে, যারা ধুমাপান চেড়ে দেন তারা ঘুমপান ছাড়ার তিনদিন
মধ্যে চমৎকার ঘুমাতে পারেন।
৫. নিয়মিত সকালে ব্যায়ামকররে তা আপনার আলস্য কাটিয়ে আপনাকে জীব হতে সহায়তা করবে।
আনেকে ঘুমোতে যাবার আগে ব্যায়াম কররে কার্যত গুমের ব্যাঘাতই ঘটে। গবেষকদের মতে ঘুমোতে যাবার
আগে আধঘন্টা ধীরলয়ে হাটলে আরামদায়ক ঘুম হয়্ কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রম কররে তা আপনার ঘুমকে
বিতাড়িত করবে।
৬.নিয়ম মাফিক কাজ করুন
নিজেকে সজিব রাখার ১০টি উপায়! প্রত্যেক নারী-পুরুষের জানা জরুরি!
সময় মতো নিয়ম মাফিক কাজ করার চেস্টা করবেন নইলে পরে তাড়াহুড়ো করতে গেয় হুলুষ্থুল বাগবে এবং আপনার কাজে বিঘ্ন ঘটবে। এর ফলে এক ধরনের মানসিক চাপে আপনাকে আক্রান্ত হতে হবে যা বস্তুত আপনার ঘুমকে ব্যাহত করব্ আর চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাবার। এতে একটা অভ্যাস তৈরি হবে। নতুবা একক দিন একক সময় ঘুমোতে গেলে আচার ঘুমের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
৭. সন্ধাকালীন চা–কফি পান থেকে বিরত থাকুন
চা কিংবা কফি সুন্দর ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। ঘুমোতে যাবার কমপক্ষে ৬ ঘন্টা আগে থেকে চা কিংবা কাফি পান বন্ধ রাখাই উত্তম। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক ধরনের রাসায়নিতক উপাদান থাকে যা মস্তিস্ককে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত আগ্রত রাখতে পারে।
নিজেকে সজিব রাখার ১০টি উপায়! প্রত্যেক নারী-পুরুষের জানা জরুরি!
কারো কারো ক্ষেত্রে তা ২০ ঘন্টা পর্যন্তও কার্যকর থাকে।সুতরাং সন্ধা বেলায় চা কিংবা কফি পান থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৮. বিছানায় যাবার আগে মনকে শান্ত করুন
উত্তেজনা নিয়ে কথনো গুমোতে যাবেন না। এত আপনার ঘুম তো ঠিক মতো হবেই না উপরুন্ত মাথা ব্রাথা , ঘাড়ব্যাথা প্রভৃতি উপসর্গ দেখো দিতে পারে। ঘুমোতে যাবার এগে মনটাকে শান্ত করুন। ঝেড়ে ফেলুন মাথায় আটকে থাকা সমস্থ চিন্তাভাবনা।
৯. গোসল করুন
প্রতিদিন অন্ত দু’বার গোসল করুন। গোসলের ফলে আপনার মনে প্রফুল্লভাব জাগ্রত হবে। শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে বেশ কিচুক্ষন তার নিচে থাকুন। গোসলের সময় নরম ব্রাশ দিয়ে হালকাভাবে সমস্ত শরীরে ঘুষুন। দেখবেন দূর হয়ে গেছে সমস্ত ক্লান্তি।
১০. আপনার জানালার পর্দা সরিয়ে রাখুন যাতে ঘরে ভোরের আলো প্রবেশ করতে পারে । রোগ খুব সহজে ঘুম ভাঙাতে পারে। গবেষকরা বলেন, ঘড়ি অ্যালর্ম কিংবা রেডিওর শব্দ মুনে ঘুম ভাঙ্গর চেয়ে ভোরের মিষ্টি রোদের পরশে ঘুম ভাঙ্গাটা বেশি চিত্তাকর্ষক, আন্দময়্।