বইঃ সিক্রেট অব জায়োনিজম। লেখক- হেনরি ফোড।অনুবাদ-ফুয়াদ

বইঃ সিক্রেট অব জায়োনিজম। লেখক- হেনরি ফোড।অনুবাদ-ফুয়াদ

মূল বইঃ The International Jews.
মূল্যঃ ৪০০
অত্র বইটিতে লেখক ১৪টি টপিকের মাধ্যমে ইহুদি জাতির ইতিহাস,আন্তর্জাতিক ইহুদি ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব এবং

তাদের প্ররোচনায় ঘটে যাওয়া ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ,রাশিয়ান বলশেভিক বিপ্লবসহ আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে ঘটে

যাওয়া সকল সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে কিভাবে কলকাঠি নাড়ছে তার একটি দালিলিক প্রমাণপত্র উপস্থাপন করা

হয়েছে।মজার বিষয় হলো আমরা অনেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি করি কিন্তু সেই

১৯২০ সালেই লেখক “হেনরি ফোর্ড” এভাবে বলে গেছেন যে,পৃথিবীতে বহু জায়গা থেকে আমেরিকায় আগত

ইহুদি আছে তবে সবচেয়ে খারাপ হলো রাশিয়া থেকে আগত ইহুদিরা।

বলশেভিক বিপ্লবের পর যারা তাদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত “নিউ ইয়র্ক” শহরে পাড়ি জমান।

সেই থেকে আমেরিকার নির্বাচনে যিনি প্রেসিডেন্ট হননা কেন তিনি মূলত ইহুদি সম্প্রদায়ের আজ্ঞাবাহ বৈ আর কিছুনা।

কারণ পুরা নির্বাচনে হারজিতের দুই পক্ষেই তারা ব্যপক বিনিয়োগ ও প্রচার চালায়।

সুতরাং যে প্রার্থী বিজয়ী হয় জিত মূলত ইহুদিদেরই।

এরপর আমেরিকার ঢুকে ধাপে ধাপে আঘাত হানতে থাকে তাদের শিল্প,সংস্কৃতি,শিক্ষানীতি,অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে।

বর্তমানে এমন কোন সেক্টর নেই যে কমিটিতে বা পরিষদে তাদের সংখ্যাদিক্যতা নেই বা পেইড এজেন্ট নেই।

তাদের লক্ষ্য ১টাই One World Order. আর তারা এই থিওরীকে বাস্তবায়নের জন্য দুটি হাতিয়ার ব্যবহার

করছে।১. প্রচার মাধ্যম।২. ইহুদি অর্থনীতি।আমি মনেকরি সচেতন মানুষ হিসেবে বইটি পড়া খুবই জরুরী।

কারণ এর থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন এবং নয়তো One World Order সম্পর্কে

অজ্ঞই থেকে যাবেন।বইটির গুরুত্ব বুঝাছে শুরুর দিকের কয়েকটি কথা তুলে ধরছি,,,

* রাশিয়ার ইহুদিরাই ছিলো বলশেভিক বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু।

* ইহুদিরা অসংখ্য মতবাদের জন্মদাতা।

একটি সমাজকে বহু অংশে বিভক্ত করার সহজ উপায় হচ্ছে -তাদের মাথায় নতুন নতুন মতবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া।

* ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম তথা বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা পৃথিবীর সব সম্পদ শুষে খাচ্ছে।

যে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা পৃথিবীর প্রত্যেক পয়গম্বর নিষেধ করে গেছেন, তা ই আজ ইহুদিরা পৃথিবীর সব

অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

* জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার নামে এক দেশের সাথে অপর দেশের দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দিয়েছে।

* ধরুন,গাজায় ইজরাইলি বিমান হামলার প্রতিবাদে ইউরোপের কয়েকটি দেশ তাদের পার্লামেন্টে আইন পাশ

করলো।এবার জনপ্রিয় টেলিভিশনগুলোতে তারা নিজেদের অতীত নির্যাতনের ইতিহাস এমনভাবে তুলে ধরবে

যেন মানুষের চোখ অশ্রুসজল হয়ে পড়ে।

* জার্মান ইহুদি লেখক Emil Ludwig Cohn বলেছিলেন-
“হিটলার কোন যুদ্ধে যাবে না,এমনকি সে কোন যুদ্ধে জড়াতে ও চায় না কিন্তু আমরা তার ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিব হয়তো এবছর নয়তো পরের কোন বছর।
* প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অটোম্যানদের হটিয়ে ব্রিটিশ সরকার ইহুদিদের হাতে প্যালেস্ট্যাইনের চাবি তুলে দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *