বগুড়া জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান বিবিরপুকুরহাট। এটি জেলার একটি প্রাচীন হাট, যা স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের মানুষের কাছেও পরিচিত। বিবিরপুকুরহাটের নামকরণ ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সীমিত হলেও, এটি স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অবস্থান:
বিবিরপুকুরহাট বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি হাট, যা জেলার একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থিত। হাটটি স্থানীয় কৃষি পণ্য, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য সামগ্রীর কেনাবেচার জন্য পরিচিত। এটি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বসে এবং স্থানীয়দের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষও এখানে আসেন।
প্রসিদ্ধ খাবার:
বগুড়া জেলা তার সমৃদ্ধ খাদ্য সংস্কৃতির জন্য সুপরিচিত। বিবিরপুকুরহাটে আসলে আপনি বগুড়ার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। নিম্নে বগুড়ার কিছু প্রসিদ্ধ খাবার উল্লেখ করা হলো:
- দই: বগুড়ার দই সারা দেশে বিখ্যাত। এর স্বাদ ও মানের জন্য এটি বিশেষভাবে পরিচিত। বগুড়ার দই ২০২৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে।
-
কটকটি: মহাস্থানগড়ের কটকটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। চালের গুঁড়া, গুড় এবং ঘি দিয়ে তৈরি এই খাবারটি মহাস্থানগড় এলাকায় বিশেষভাবে পাওয়া যায়।
- স্পঞ্জ মিষ্টি: বগুড়ার স্পঞ্জ মিষ্টি বা রসগোল্লা তার নরম ও রসালো স্বাদের জন্য পরিচিত। এটি বগুড়ার অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন।
- লাচ্ছা সেমাই: বগুড়ার লাচ্ছা সেমাই দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি চাহিদা মেটায় এবং বিদেশেও রপ্তানি হয়। এর স্বাদ ও মানের জন্য এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
- শিক কাবাব: বগুড়ার শিক কাবাব তার বিশেষ প্রস্তুত প্রণালী ও স্বাদের জন্য পরিচিত। শহরের সাতমাথা এবং কলোনী এলাকায় সন্ধ্যার পর এই কাবাব পাওয়া যায়।
- আলু ঘাঁটি: আলু দিয়ে তৈরি এই বিশেষ খাবারটি বগুড়ার মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সাধারণ উপাদান দিয়ে তৈরি হলেও এর স্বাদ অতুলনীয়।
- আঠা আলু: বগুড়ার আঠা আলু ভর্তা তার বিশেষ স্বাদের জন্য পরিচিত। এর আঠালো ও ভিন্নধর্মী স্বাদ এটি অন্যান্য আলুর ভর্তা থেকে আলাদা করে।
বিবিরপুকুরহাটে ভ্রমণ করলে আপনি বগুড়ার এই ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর স্বাদ নিতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে তাজা কৃষি পণ্য ও হস্তশিল্প সংগ্রহ করতে পারেন। হাটের পরিবেশ ও স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আপনার ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।
বগুড়ার এই ঐতিহ্যবাহী হাট ও খাবার সম্পর্কে আরও জানতে স্থানীয় পর্যটন তথ্য কেন্দ্র বা বগুড়া জেলার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এতে আপনার ভ্রমণ আরও সহজ ও আনন্দদায়ক হবে।