Depressionমানুষের জীবনে আবেগজনিত যত অস্বাভাবিকতা রয়েছে তার মধ্যে বিষন্নতাই প্রধান ।
এমন খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে নি ককনো না কখনো বিসন্নতাই ভোগেন্ সাময়িক বিষন্নতাই ভোগাটা
স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর তেমন প্রভাব হতো ফেলেনা কিন্তু দীর্ঘদিন বিষন্নতায় বুগলে আপনার জীবনটাই
বরবাদ হয়ে যাবে। বিষন্নতা থেকেই অনেকের আত্নহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।
বিষন্নতা যে কারো জন্য এক তিক্ত অবিজ্ঞতা। শারীরিক অসুস্থতা আরো বিপজ্জনক ।
আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে বিষন্নতার মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে বহুগুনে।
উপসর্গ
রোগীকে দেকে বিষন্নতা নির্নয় করা খুব সহজ কাজ নয় ্ বিষন্নতাগ্রস্তদের সবচেয়ে বড় উপসর্গ হলো অব্যাখ্যেয় দুঃখবোধ, শক্তি কমে যাওয়া , উৎসাহ হারিয় ফেলা এবং জীবনের প্রতি চরম হতাশা ।
রোগী অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করে , তার চার পাশের জগত সম্পর্কে সব আগ্রহ কমে যায়্ এদর ঘুমের অসুবিধা দেখা দেয়।
বিষন্নতার(Depression) কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা!
সাধারণত রোগীর ঘুম ভেঙ্গে যায় ভোর ৪টা বা ৫টার দিকে বেং পরে আর গুম আসে না।
রতে দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
রোগী এক ধরনে অপরাধবোধে ভোগে, ভারাক্রান্ত অনুভব করে এবং নিজের মধ্যে নিমগ্ন থাকে।
বিষন্নতার রোগীদের এসব উপসর্গ চাড়াও অন্যান্য কিছু উপসর্গ দেখা দেয় যেমন ক্ষুধামন্দা, মাথা ঘোড়া.
বিষন্নতার(Depression) কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা!
চুলকানি. বমি বমি ভাব. উদ্বেগ. বিরক্তি . পুরুষত্বহীনতা কিংবা নারীদের বেলায় কামশীতলতা, কোষ্টকাঠিন্য,
শরীরে, ব্যথা, কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পরা এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।
কিছু লোকের খাদ্যের প্রতি বিতৃষ্ণা এতটা বেড়ে যায় যে, খুব দ্রুত সে ওজন হারিযে ফেলে, আবার কিছু কিছু
লোকের খাদ্যের প্রতি মোহ বেড়ে যায় এবং তার ওজনও বেড়ে যায়। তীব্র বিষন্নতার ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা
কমে যায়, রক্ত চাপ কামে যায় এবং শীত লাগে। রোগী এতটা হতাশাবোধ করে যে, সে আত্নহ্ত্যার প্রতি ঝুকি
পড়ে। বিষন্নতার(Depression) কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা!
বিষন্নতার কারণ
মানসিক বিষন্নতার একটি প্রধান করাণ হলো এডরেনাশ গ্রন্থির কার্যকারিতা লোপ পাওয়া। অনিয়মিত খাদ্য
গ্রহনে পাকতন্ত্রের সামস্যাগুলো দেখা দেয়। বদহজমের ফলে পাকনালিতে গ্যাস উৎপন্ন হয়এবং এজন্য
ডায়ফ্রামের ওপর হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসে এলাকায় চাপ সৃস্টি হয় এর ফলে কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ
কমে যায় এবং কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, আর এক্ষেত্রে ঘটে সাধারণ বিষন্নতা।
বিভিন্ন ওষুধ সেবনেও বিষন্নতা দেখা দেয়।
এসব বাছবিচারহীন ওষধ শরীরের ভিটামিন ওখনিজকে শোষন করে নেয় এবং অ্যান্টাসিড সেবনে ক্যালসিয়াম
ও ভিটামিন বির ঘাটতি হয়। ডায়াবেটিস, রক্তে চিনির পরিমান অত্যাধিক কমে যাওয়া এবং লিভারের দুর্বলাতা ,
অত্যাধিক চর্বি গ্রহন বিষন্নতা সৃষ্টি করে।
বিষন্নতা কাটানোর জন্য চিকিৎসাকরা কিছু বিষন্নতাবিরোধী ওষুধ ব্যবহার ককরতে বলেন বটে, কিন্তু সেসব ওষুধ
কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মারাত্নক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মধ্যে রয়েছে লিভারের ক্ষতি, অতি সংবেদনশীলাত,
নিদ্রাহীনতা, হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি, রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ব্যাথা, মাথঅ ঘোরা এবং চোখে ঝাপসা দেখা।
বিষন্নতার খাবার গ্রহন বেশ ভালো কাজ দেয়। পুষ্টি মুলত মস্তিকের কোষগুলোকে সজীব করে তুলে মনে এক ধরনের প্রফুল্লভাব সৃষ্টি করে।
চিকিৎসকরা বর্তমানে বিষন্নতার জন্য ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের কথা বলছেন।
এসব খাবারের মদ্যে রয়েছে খাদ্রশস্য , সবুজ শাকসবজি, ডিম এবং মাছ।
বিষন্নতায় ভগুল চা, কফি, অ্রালকোহন, চকোলেট, কোমল পানয়ি বর্জন করতে হবে।
্রো বর্জন করতে হবে চিনি ও রঙ মিশ্রত সুগন্ধি খাবার। প্রচুর ফল মূল খেতে হবে।
সকাল দুধ খেতে হবে।দুপুরে ও রাতে খেতে হবে প্রচুর সালাদ।ব্যায়াম বিন্নতার ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়।
শরীরিক পরিশ্রম মেজাজ ভালো করে।
চিকিৎসকরা তাই বিষন্নতার চিকিৎসায় ব্যায়াম কারা ওপর গুরুত্ব দেন।
ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সাধিত করে মনকে খোষমেজাজে রাখে ।
ব্যায়ামের ফলে রক্তে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটে এবং বিটা এনডোরফিন নামাক এক ধরনের মন প্রফুল্ল রাখার হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিদিন হাটলে সুন্দর ব্যায়াম হয়ে যায়।
বিষন্নতার(Depression) কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা!
ব্যায়াম ছাড়া বিষন্নতার জন্য আরো যা করতে হবে তা হলো শিথিলায়ন বা রিলাক্সেশন।
সম্মোহনের মাধ্যমেও অনেকে বিষন্নতা কাঠিয়ে তুলতে পারে।
বিষন্নতার চিকিৎসায় দৈনিক ১ ঘন্টা গোসল করতে চমৎকার ফল পাওয়া যায়। গোসলটা ঠান্ডা পানিতে করাই উত্তম।