আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

মাসিকের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিনে তলপেটে কামড়ানো ব্যথা হয় এর সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন পাকস্থলী ও অন্ত্রের অস্বাচ্ছন্দ্যতা এবং পিঠে ব্যথা থাকতে পারে।

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

কারণ

যখন অক্সিজেনের  মাত্রা জরায়ুর কোষগুলোতে  কমে যায়, তখন এক রকমের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদের শরীরে – অর্থাৎ জরায়ুতে – ব্যাথা করে।

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

যদি এর সাথে সাথে বেশী রক্তক্ষরণও থাকে, তখন ব্যথা আরও বেশী অনুভব হয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ব্যাথা কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাছাড়া অনেক মহিলারাই বলেন যে সন্তান প্রসব করার পর এই ব্যাথা আগের চেয়ে কমে যায়।

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

সাধারণত জরায়ুর কোষগুলোতে  অক্সিজেনের ঘাটতি হলেই এই ব্যাথা হয়।

তবে এর আরও অন্য কারণ থাকতে পারে। আপনার ফাইব্রয়েড  থাকতে পারে।

এটি একটি রোগ যেখানে জরায়ুতে একটি টিউমার হয়, তবে তা কোন ক্যানসার জনিত কারণে নয়।

আপনার যদি ফাইব্রয়েড  থাকে তাহলে আপনার মাসিকের সময় ব্যথা অনেক বেশী হবে।

চিকিৎসা

এসপিরিন এবং নন ষ্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধগুলোর রয়েছে বিশেষ রাসায়নিক ক্রিয়া যা মাসিকজনিত কামড়ানো উপসম করে।

যদি ব্যথা খুব তীব্র হয় এবং তা ওষুধে কাজ না হয় তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনাকে শক্তিশালী ওষুধ কিংবা

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

গর্ভনিরোধক বড়ি প্রদান করবেন। বিছানায় বিশ্রামের চেয়ে ব্যায়াম এক্ষেত্রে উৎকৃষ্টতর।

ওষুধ কাজ করা পর্যন্ত গরম পানির সেক কিংবা গরম প্যাড সাহায্য করে।

কখন আশংঙ্কা জনক

যদি আপনার আগে কখানো তলপেট না কামড়ায় কিংবা প্রথম মাসিকের ৩ বছর পর যদি কামড়ানো শুরু করে

তাহলে তা এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক ইনফেকশন কিংবা ফািইব্রয়েড বা টিমারের লক্ষন।

এক্ষেত্রে আনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে।

ডিম্বাশয়ের সিষ্ট

কখনো কখনো ডিম্বানু অস্বাভাবিকভাবে বিকাশ লাভ করে এবং ডিম্বাশয়ের তরল পূর্ন থলি গঠন করে।

সাধারনত এটা ব্যাথা বিহিন কিন্তু যখন সিষ্ট ডিম্বাশ্বয়কে পেচিয়ে ফেলে কিংবা ফেটে যায় কিংবা ফ্লুইড অথবা

আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !

রক্ত পেলভিসে ছলকে আসেতখন ওপারে তলপেটে অথবা ফেলভিক অস্তির ওপরে তীব্র ব্যথা হয় ।

ডিম্ব নিঃসরণর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে স্বল্প রক্ত যায় যার ক্রন এক অথবা দুদিন ব্যথা হয়।

এ ব্যথা দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ঘটে কিন্তু সিস্টির বেরায় সাসিকের যে কোনো সময়ে ব্যথা হতে পারে।

চিকিৎসাঃ

ব্যথালাঘব ওষুধ এবং গরম প্যাড  সেই সাথে পূর্ন বিশ্রাম উপসর্গগুলোকে উপসম করে ।

ডিম্ব নিঃসরণের ব্যতা চলেযোয় বটে, কিন্তু প্যাঁচানো কিংবা ফেটে যাওয়া সিস্ট থেকে যায়।

কখন আশঙ্কাজনক

আপনার চিকিৎসাকের শরণাপন্ন হবেন যদি-

  • আপনার জ্বর হয় কিংবা যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত অথবা বিবর্ণ রস নিঃসরন হয়।
  • আসুন জেনে নেই মাসিকের ব্যথায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায় !
  • ব্যথা তীব্র হয় কিংবা তা একদিনের বেশি স্থায়ী হয়।
  • তলপেটের ডানে অথবা বায়ে চাকা দেখা দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *