শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে লাইপোসাকশন(Liposuction)!

শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে লাইপোসাকশন(Liposuction)!

কে না চায় তার শরীরটাকে আকর্শণীয করে তুলতে? শরীরর থেকে বাড়তে মেদ ঝেড়ে ফেলার জন্য  কত জনের কত প্রচেস্টা।

কেউ ডায়েটিং করেন, কেউ ব্যায়াম করেন কিন্তু কিছুতেই সুফল পান না।

অনেনে আছেন যারা খুব মোটা নন কিন্ত শরীরের এমন স্থানে মেদ জমে উটৈছে যা ছেড়ে ফেলা যাচ্ছে না।

কিছুতেই অথচ ওই মেদটুকু দূর করতে পারলে তাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হবে অন্যর কাছে।

সত্যি কার অর্তে শরীরে মেদজাম স্বাস্থ্যর জন্য বিপর্যয়।

উচ্চরক্তচাপ, র্হদরোগ, ডায়াবিটিস, কোমর ব্যথা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয় কেবল বাড়তে মেদের জন্য।

গবেষকরা বর্তমানে চমৎকার  একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে কোনা রকম কষ্ট ছাড়াই শরীরের অতিরিক্ত মেদ দুর করা যাবে।

এ জনপ্রিয় পদ্ধতির নাম ‘লাইপোসাকশন’।

এখন মেদ ঝেড়ে ফেলার  সবচেয়ে জনপ্রিয় কসমেটিক সার্জারি এটা।

এ পদ্ধতিতে ছোট্ট অপারেশনের মাধ্যমে শরীরে জমে থাকা মেদগুরোকে শুষে নেয়া হয়।

পদ্ধতিটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্রান্সের প্লাস্টিক সার্জনরা।

  • লাইপোসকশন কি ধরনের সুবিধা পাবেন

লাইপোসকশন স্থনিক অঞ্চলে জমে থাকা মেদ যা কিন্ ডায়েটিং ও ব্যায়ামের দূর হয় না- সেগুলোকে অপসারন করে।

এসব অঞ্চল হলো উরু, কোমর, চোয়াল, নিতম্ব হাটু , গোড়ালি এবং পাযের ডিম।

অন্য স্থানের মেদ ও চিকিৎসা  করা যায়, তবে তা তেমন সন্তোষজনক হয় না।

এ পদ্ধতিতে আপনি কেবল ৩ পাউন্ড অথ্যাৎ দেড় কেজির কম ওজন কামতে সক্ষম হবেন।

সুতরাং লাইপোসকশন করার আগে চিন্তা করে নেবেন, মনে রাখেবেন লাইপোসাকশননিয়ন্ত্রিত খাবার ও উৎকৃষ্ট ব্যায়ামের বিকল্প নয়।

এটি কেবল আপনার অস্বাস্তিকর ও ডেঢপ শারীরিক গঠনকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

গবেষকদের মতে লাইপোসকশনের  পর স্থায়ী হতে পারে ‍যদি মেদটা মানোর পর আপনি চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলেন।

  • কাদের ক্ষেত্রে পদ্ধতি প্রযোজ্য

যারা বেশি মেদবহুল তাদের জন্য এ পদ্ধতি ঠিক উপযুক্ত নয়।

তাদের ক্ষেত্রে লাইপেকটমি বা অপারেশনের মাধ্যমে মেদ কাটার সাথে এটা একটি সহায়ক পদ্ধতি হতে পারে।

তাবে যাদের শরীরে অল্প বা মাঝারি  ধরনের মেদ রয়েছে এ পদ্ধতি ব্যবাতর করে তাদরে মেদ চমৎকারভাবে

ঝেড়ে ফেলা সম্ভব। বস্থুত সুন্দর স্বাস্থ্যর যে কেই এ পদ্ধতিতে মেদ কমাতে পারেন।

শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে লাইপোসাকশন Liposuction

কিন্তু হৃদরোগ. ফুসফুসের সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকলে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।

লাইপোসকশনের জন্য উৎকৃষ্ট বয়স  হলো ৪০ বছরের নিচের লোকেরা, এ সময়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা সুন্দর

থাকে। ওজনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ওজনের কাছাকাছি ওজন হলে লাইপোসাকশনের জন্য উত্তম।

  • কীভাবে লাইপোসাকশন করা হয়

বর্তমানে অধিকাংশ সার্জন ‘টিউম সেন্ট’ লাইপোসাকশন পছন্দ করছেন।

এক্ষেত্রে মেদ বের করে আনার আগে ইনজেশনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমান স্যালাইন বা লবণ পানি প্রয়োগ করা হয়।

এই স্যালাইনের মাধ্যে রয়েছে লিডোকেইন এবং এপিনেফরিন ওষুধ্ লিডোকেইন স্থানিক এনসথেসিয়া হিসেবে কাজ করে , আর এপিনেফরিন রুক্তনালিকে সংকুচিত করে রক্তপাত প্রতিহত করে।

অবশ্য প্রতমে মেদবহুল নারী বা পুরুষকে দাঁড় করিয়ে মেদপূর্ণ অংশ চিহ্নিত করা  হয়।

তারপর সার্জন ঠিক করেন, কী পরিমান মেদ শুয়ে নেয়া হবে।

মেদের স্থানের ত্বকে এক ইঞ্চির মতো একটা ছোট ক্ষতি সৃষ্টি করে ধাতব কেনুলা বা সাকশন টিউব ঢোকানো

হয়। পরে নেগেটিভ প্রেশারের মাধ্যমে কেনুলাটি সামনে পেছনে নেড়ে মেদগুলো কেটে শুষে আনা হয়।

অতিরিক্ত মেদবহুল স্থানের জন্য ১০ মি.মি সাইজের কেনুলা ব্যবহার করা হয। সর্বোচ্চ ৩০০০ গ্রাম মেদ

একবারে শুষে নেযা সশ্বব হলেও সাধারনত ১৫০০ গ্রাম মেদ প্রাথমিকভাবে শোষন করা হয়।

কারণ একবারে বেশি মেদ শোষণ করলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে- হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

এখন আরও একটি নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন ঘটেছে যার নাম ‘আল্ট্রাসনিক-এসিসটেড লাইপোপ্লাষ্টি।’

এ পদ্ধতিতে জেনারেটরের মাধ্যমে ভাইব্রেশন বা কম্পন সৃষ্টি করে চর্বিকোষগুলোকে পিষে ফেলা হয়।

তবে পদ্ধতিটি চিকিৎসকদের কাছে এখান ততটা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি।

লাইপোসাকশন করতে সময় লাগে এক থেকে তিন ঘন্টা।

এটা অবশ্য নির্ভর করে শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদের পরিমানে ওপর।

লোকাল বা স্থানিক কিংবা জেনারেল এনেসথেসিয়া দিয়ে চিকিৎসক তার চেম্বারে কিংবা আ্‌উটডোর পেশেন্ট

হিসেবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন।

শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে লাইপোসাকশন Liposuction

অপারেশনের আগে রোগীর সমস্ত শরীর জীবণুমুক্তকর‌ণ সল্যুশন দিয়ে পরিস্কার করা হয়।

যে জায়গাটায় পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে সেখানে বিশেষ কলম দিয়ে চিহ্ন দেয়া হয়।

  • অপারেশনের পরে সেরে ওঠা

অপারেশনের তিন ঘন্টার মধ্যে রোগী স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

প্রথম দু’একদিন ক্ষত থেকে রক্তসহ লোকাল এনসথেসিয়ার উপাদন এবং শরীরের অন্য রসে বের হতে পারে।

এ কারণ ক্ষতের স্থানে আধ ইঞ্চি প্লাষ্টিকের নিস্কাশন টিউব লাগিয়ে দেয়া হয়।

এ সময়ে বসে থাকলে কিংবা ঘুমোতে গেলে নিচে তোয়ালে বিছানো ভালো।

ক্ষতের স্থানটা কিছু গজ বা স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।

ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দু’থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়্ চোয়ালে লাইপোসাকশন করলে পাঁচদিন সেখানে এক ধরনের স্ট্রাপ দিয়ে রাখা হয়।

শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে লাইপোসাকশন Liposuction

গোড়ালি কিংবা পায়ের ডিমের ক্ষেত্রে উপশম হতেসময় লাগে ছ’সপ্তাহ। পেটে লাইপোসাকশন করালে প্রথম দু’দনি ব্যথা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামলই যথেষ্ট।

অপারেশন করার পর ওই দিনেই হালকা ব্যায়াম যেমন হাটহাটি শুরু করতে পারেন।

ক্ষত স্থানে তিন সপ্তাহ হলুদ দাগ থাকতে পারে। ফোলা কিংবা লাল ভাব ছ’মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *