বাংলাদেশের সরকারী বিজ্ঞান গবেষণাগারের বেশীরভাগ বিজ্ঞানীদের পিএইচডি নেই।
দেশের একটি প্রধান গবেষণাগার হলো বিসিএসআইআর যার ঢাকা শাখায় বিজ্ঞানী আছেন ৬৭জন।
তার মধ্যে পিএইচডি আছে মাত্র ১৫ জনের। অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ বিজ্ঞানীদের পিএইচডি নেই।
সরকারী বিজ্ঞান গবেষণাগারের বেশীরভাগ বিজ্ঞানীদের পিএইচডি নেই
ঐ সরকারী গবেষণাগারের চট্টগ্রাম শাখায় বিজ্ঞানী আছেন ২৯ জন এবং তাদের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রী আছে মাত্র ৩ জনের।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেক চিফ, প্রিন্সিপাল ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসারের পিএইচডি ডিগ্রী নেই।
যে কোন দেশের ন্যাশনাল ল্যাবের গবেষকদের আলাদা কদর থাকে।
তাদের গবেষণার প্রোফাইল অনেকক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে ভালো হয়।
কিন্তু বাংলাদেশে সরকারী বিজ্ঞানীদের অবস্হা সত্যিই করুণ।
বাংলাদেশের সরকারী গবেষণাগারে মাষ্টার্স পাশ করা শিক্ষার্থীদের সায়েন্টিফি
ক অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। যেখানে পিএইচডি ও পোষ্টডকদের নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের অসংখ্য ছাত্র বিদেশে পিএইচডি ও পোষ্টডক করে দেশে ফিরতে চায় কিন্তু তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার
কোন পরিকল্পনা নেই।
যেহেতু বহু চিফ, প্রিন্সিপাল ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসারের পিএইচডি ডিগ্রী নেই, তারা সহজেই কোনো
পরিবর্তন চাইবেন না। সরকারি ল্যাবে আমাদের সরকার বিভিন্ন প্রজেক্টে কোটি কোটি টাকার ফান্ডিং করেন
কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় তা থেকে প্রকৃত উপকার পাওয়া সম্ভব হয় না।
বিজ্ঞান গবেষণায় সক্ষমতা অর্জন করতে হলে আমাদের পলিসিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
আল্লাহ যদি কারো রিজিক বন্ধ করে দেন, তবে তা চালু করার শক্তি কারো নেই। আল্লাহ বলেন- “এমন কে
আছে যে তোমাদের রিজিক দান করবে, যদি তিনি রিজিক বন্ধ করে দেন?
বস্তুত তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে। (সুরা মুলক, আয়াত-২১)।
“এমন কতো জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মজুদ রাখে না; আল্লাহই রিজিক দান করেন তাদেরকে ও
তোমাদেরকে এবং তিনি সর্বশ্রোতাসর্বজ্ঞ।” (সূরা আনকাবুত,আয়াত ৬০)।
জমিনে আল্লাহর দেয়া রিজিকের নেয়ামত রাশির এক উম্মুক্ত ভান্ডার তুরাগ নদী। আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণ
কালে তার কিছু নমুনা দেখলাম। ঝাঁকি জাল, ব্যাগ জাল, ভাসা জাল, কারেন্ট জাল, ফলিং জাল, ধর্ম জাল,
সরকারী বিজ্ঞান গবেষণাগারের বেশীরভাগ বিজ্ঞানীদের পিএইচডি নেই
টেটা প্রভৃতি দিয়ে মাছ শিকার চলছে। কোন ধর্মের অনুসারী জানিনা তবে এক ধর্ম জালির থেকে ২০০ টাকায় ১
কেজি মাছ কিনলাম। একদম তাজা। মুলতঃ পুটি মাছ কিনলেও বাসায় এনে দেখি এতে রুই, কাতল, বোয়াল,
শৈল, কৈ, তেলাপিয়া, শিং এবং সামুদ্রিক মাছের পোনাও আছে। সাথে বোনাস তিনটি এংকর মাছের পোনা।
এংকর, শৈল আর কৈ এর পোনায় প্লাস্টিক পটে সৃজিত হলো গরীবের একুরিয়াম।
মৎস্য আহরণের কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করলাম।