সালাবা (রা:) আল্লাহর রাসূলের একজন কম বয়সী সাহাবী,,তিনি একদিন একটা বাড়ির পাশ দিয়ে হেটে
যাচ্ছিলেন এমন সময় বাতাসে ওই বাড়ির পর্দা সরে গেলে তিনি একজন গোসলরত নারীকে দেখতে পান।
সালাবা (রা:) আল্লাহর রাসূলের একজন কম বয়সী সাহাবী
সাথে সাথে দৃষ্টি অবনত করে ফেলেন,তিনি এই দৃশ্য দেখে মুনাফেক হবার ভয়ে মুষড়ে যান।
রাসূল (সা:) কে কিভাবে মুখ দেখাবেন সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে যান কারণ আল্লাহ তার নামে আয়াত নাজিল
করে রাসূল (সা:) অবগত করবেন।
দুই ভয়ে তিনি নির্জন পাহাড় গিয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। আল্লাহ রাসূলকে (সা:)
জানালেন পাহাড়ে এক যুবক আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় মশগুল আপনি তার দিকে একটু অগ্রসর হন।
রাসূলে আরাবী (সা:) সালাবা (রা:) কে খুঁজতে কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবী পাঠালেন।
তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার দেখা পেলেন না।
পরে তারা পাহাড়ের দিকে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেন একজন রোগা পাতলা যুবককে দেখেছেন?
কেউ বলতে পারলো না।
হঠাৎ একজন লোক বললো আপনারা কি সেই বালকের সন্ধান করছেন যে পাহাড়ের গুহায় কান্নাকাটি করে
প্রতিদিন? সাহাবারা বুঝলেন সালাবা (রা:) ছাড়া এটা কেউ না।
সাহাবারা তার নিকট গেলে তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বললেন আমার নামে কি আয়াত নাজিল হয়েছে,আমি কি
মুনাফিকদের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি?
সাহাবারা বললো তা হবে কেনো তুমি তো আল্লাহর উত্তম বান্দা,,তোমার জন্য আমরা পেরেশান হয়ে গেছি,চলো
রাসূলের (সা:) কাছে যাই এমতাবস্থায় তিনি যেতে অস্বীকার করলে উমর (রা:) তাকে জোর করে নিয়ে
আসলেন।
সালাবা (রা:) আল্লাহর রাসূলের একজন কম বয়সী সাহাবী
লজ্জা এবং কান্নাভরা কণ্ঠে আল্লাহর রাসূলের (সা:) কাছে তিনি জিজ্ঞেস করলেন তার নামে কোনো আয়াত
নাজিল হয়েছে কিনা,রাসূল (সা:) তাকে সান্ত্বনা দিলেন আর বললেন আমি বুঝতে পারছি,তুমি বেশি বেশি ক্ষমা
প্রার্থনা করো এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না,,তোমার ক্ষমা প্রার্থনা তোমাকে অনেক উচ্চাসনে
পৌঁছে দিবে।
সালাবা (রা:) আল্লাহর রাসূলের একজন কম বয়সী সাহাবী
সালাবা (রা) শুয়ে পড়লেন এবং রাসূল (সা:) তার মাথা কোলের উপর নিলেন এমতাবস্থায় সালাবা (রা:) বললেন
আমার গাড় থেকে পিঠের দিকে একটা পিঁপড়ার বিচরণ বুঝতে পারছি। রাসূল (সা:) বললেন ওটা মৃত্যুর
ফেরেশতা,তোমার সময় ফুরিয়ে এসেছে তুমি কালেমা শাহাদা পাঠ করো।
তার প্রশান্ত আত্মা দেহ থেকে বের হয়ে গেলো,, রাসূল (সা:) তাকে নিজ হাতে গোসল করালেন।
যখন তাকে কবরস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন রাসূল (সা:) খুব টিপে টিপে হাঁটছিলেন।
উমর (রা:) ইয়া রাসূল আল্লাহ এমন করে হাঁটছেন কেনো রাস্তা তো ফাঁকা।
সালাবা (রা:) আল্লাহর রাসূলের একজন কম বয়সী সাহাবী
রাসূল (সা:) বললেন আসমান থেকে আসা রহমতের ফেরেস্তায় রাস্তা ভোরে গেছে তাই এমন করে হাঁটছি।
হঠাৎ করে নজর পড়ায় আল্লাহর প্রিয় বান্দা সালাবা (রা:) ভয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন,,কতটা কান্নাকাটি
করেছিলেন চিন্তা করলে নিজের অবস্থান তলানিতেও খুঁজে পাই না।
কতটা আল্লাহ ভীরু আর তাকওয়াবান হলে এমন হওয়া যায় চিন্তা করলে নিজের অবস্থান কল্পনা করাও বোকামি মনে হয়।
আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত এই ঘটনা থেকে, আমাদের জীবনের তুলনা করা উচিত সালাবা (রা:) এর সাথে।
আল্লাহ সকল পুরুষকে তার মতো হওয়ার তৌফিক দান করুক, আমিন।