বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিখ্যাত জেলা বগুড়া। এই জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান ও বাজারের মধ্যে অন্যতম হলো হাটকড়ি হাট। এটি স্থানীয়দের নিকট অনেক জনপ্রিয় একটি বাজার যা স্থানীয় কৃষি পণ্য ও নানা রকম খাবারের জন্য পরিচিত।
অবস্থান:
হাটকড়ি হাট বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি শেরপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে, সহজেই যাতায়াতযোগ্য। সড়কপথে সহজেই এখানে যাওয়া যায় এবং আশেপাশের গ্রামের মানুষজন নিয়মিত এই হাটে আসেন। হাটটি সপ্তাহে দুই দিন বসে – শনিবার ও মঙ্গলবার। বিশেষ করে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রির জন্য এই হাটে আসেন।
প্রসিদ্ধ খাবার:
হাটকড়ি হাট তার নানান রকম ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবারের জন্য বিখ্যাত। এখানে বেশ কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
১. বগুড়ার দই: বগুড়ার দই বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। হাটকড়ি হাটে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে খাঁটি বগুড়ার দই পাওয়া যায়, যা খেতে অতুলনীয়।
২. চিড়ার মোয়া: চালের চিড়া দিয়ে তৈরি চিড়ার মোয়া এখানে খুবই জনপ্রিয়। মোলায়েম চিড়া ও গুড়ের মিশ্রণে তৈরি এই খাবার স্থানীয় ও বাহিরের ক্রেতাদের কাছে সমাদৃত।
৩. দেশি হাঁসের মাংস: হাটকড়ি হাটে দেশি হাঁসের মাংস বিশেষভাবে জনপ্রিয়। হাঁসের ঝোল ও ভুনা মাংস অনেকেরই প্রিয়।
৪. পাটালি গুড়: শীতকালে হাটকড়ি হাটে পাটালি গুড়ের প্রচুর চাহিদা থাকে। স্থানীয় খেজুরের রস থেকে তৈরি এই গুড় অনেক স্বাদের।
৫. শাকসবজি ও ফলমূল: হাটকড়ি হাটে তাজা শাকসবজি ও মৌসুমি ফলমূল সহজেই পাওয়া যায়। কৃষকরা সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রি করায় দামও তুলনামূলক কম।
যাতায়াত ব্যবস্থা:
হাটকড়ি হাটে যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ সুবিধাজনক। স্থানীয় বাস, অটোরিকশা ও সিএনজি অটোর মাধ্যমে সহজেই হাটে পৌঁছানো যায়।
কেন হাটকড়ি হাটে ঘুরে আসবেন:
হাটকড়ি হাট কেবল একটি কেনাকাটার স্থান নয়, এটি বগুড়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এখানকার খাবারের স্বাদ ও বাজারের বৈচিত্র্য সত্যিই অভূতপূর্ব। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এটি আদর্শ স্থান।
হাটকড়ি হাটে আসুন, বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ও বাজারের আনন্দ উপভোগ করুন।